চিয়া সিড অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। চিয়া সিডে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন চিয়া সিড রাখতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা যারা ব্যায়াম করেন, তারা ব্যায়ামের ১ ঘণ্টা পর চিয়া সিড খেতে পারেন।
219.00৳ – 749.00৳ Price range: 219.00৳ through 749.00৳
অর্ডার অথবা যেকোনো তথ্যের জন্য কল করুন
চিয়া সিড অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। চিয়া সিডে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন চিয়া সিড রাখতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা যারা ব্যায়াম করেন, তারা ব্যায়ামের ১ ঘণ্টা পর চিয়া সিড খেতে পারেন।
চিয়া বীজ হচ্ছে সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ । এটি মূলত মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলে বেশি জন্মায়। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করে থাকেন। চিয়া সিড দেখতে কালো রঙের এবং তিলের মতো ছোট আকারের। প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে ৪৮৬ ক্যালোরি থাকে।
চিয়া সিডের উপকারিতা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। তো এবার চলুন, চিয়া সীডের ক্যালোরি পরিমাপ করি। ১০গ্রাম, ১০০গ্রাম ও ১০০০গ্রাম চিয়া সিডে কি পরিমাণ ক্যালোরি থাকে তা জানুন। এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ সিদ্ধ ডিমের সাথে তুলনা করি, ডিমের থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন থাকে চিয়া সিডে।
পরিমাণ (গ্রাম) | ক্যালোরি | Compare (1 Eggs = 78 Calories) |
---|---|---|
১০ গ্রাম | ৪৯ ক্যালোরি | ১টি ডিমের সমান |
১০০ গ্রাম | ৪৮৬ ক্যালোরি | ৬টি ডিমের সমপরিমাণ |
১০০০ গ্রাম | ৪৮৬০ ক্যালোরি | ৬২টি ডিমের সমপরিমাণ |
এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ চিয়া সিড, একটু মধু ও একটু লবণ মিশিয়ে সহজেই সরবত বানিয়ে খেতে পারেন চিয়া সিড। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন। স্বাভাবিক পানি কিংবা হালকা কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড। এরপর সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। আবার ঘুমানোর আগেও এটি খাওয়া যায়।
চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর প্রভাবে দ্রুত ওজন কমতে সহায়তা করে। চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিদে পায় না। স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে এটি। সুষম আহার, স্ট্রেস কম থাকলেই শরীর সুস্থ থাকবে। আর চিয়া সিডের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। যা পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।
পানি বা দুধে সারা রাত চিয়াবীজ ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এ ছাড়া সালাদ, স্যুপ, ওটস অথবা যেকোনো জুসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন এই বীজ।
চিয়া সিড রয়েছে প্রচুর আঁশজাতীয় উপাদান, যা খেলে আপনার পেট ভরা মনে হবে। এর ফলে ক্ষুধা কম লাগবে। চিয়া সিডের সঙ্গে পানি মেশালে আয়তনে কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিন পরিমাণ মতো চিয়া সিড খেলে ক্ষুধা কম লাগবে এবং এর উপাদান গুলো ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
বীজ জাতীয় যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। কারণ, এতে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক এসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।
অর্ডার অথবা যেকোনো তথ্যের জন্য কল করুন
ঢাকার ভিতরে ১ দিন, ৭০ টাকা
ঢাকার বাহিরে ২-৩ দিন, ১২০ টাকা